কলকাতা: আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনার কোনো তুলনাই নেই। দিন দশেক আগে মনে করা হচ্ছিল এ বার পুজো মোটের ওপরে শুকনোই থাকবে। বৃষ্টি হলেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির থেকে বেশি কিছু হয়তো হবে না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে মনে হচ্ছে সপ্তমী এবং অষ্টমী রাজ্যে মোটামুটি বৃষ্টি হবে। দুর্যোগের আশংকা না থাকলেও সাধারণ মানুষ এই বৃষ্টির জেরে কিছুটা বিরক্ত হতে পারেন।
এই মুহূর্তে ভিয়েতনামের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন নোরু। ওই ঝড়টি আছড়ে পড়ার পর তার অবিশিষ্ট অংশ মায়ানমার হয়ে এসে পড়ছে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরে। এর ফলে সাগরের ওই অংশে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে সপ্তমী তথা ২ অক্টোবরে।
ঘূর্ণাবর্তটি নিম্নচাপে পরিণত হয়তো হবে না। কিন্তু সে যে হেতু পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে ঘাঁটি গাড়বে, সে কারণে সপ্তমী এবং অষ্টমী দফায় দফায় বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। দু’-এক পশলা ভারী বৃষ্টিরও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সপ্তমী এবং অষ্টমীর আনন্দ মাটি হবে না।
আবহাওয়া কিছুটা উন্নত হবে নবমীতে। বৃষ্টি একদমই কমে যাবে দক্ষিণবঙ্গে। যদিও দশমী এবং একাদশীতে ফের জোরালো বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই দফায় হয়তো কিছুটা ভারী বৃষ্টিই হবে দক্ষিণবঙ্গে। কারণ নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে সাগরে, ৫ অক্টোবর। ৫ থেকে ৭ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
অতএব এটা বলা যায়, গোটা পুজোয় ভাসানো বৃষ্টির সম্ভাবনা না থাকলেও ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য ভালো সময় তৃতীয়া থেকে ষষ্ঠীর মধ্যে । আবার নবমীতেও খুব ভালো সময় পাওয়া যাবে ঠাকুর দেখতে যাওয়ার জন্য।
আরও পড়তে পারেন
কলকাতা ঘুরে দেখুন দু’তলা বাসে, ভাড়া মাত্র পঞ্চাশ টাকা
দুর্গাপার্বণ: উখড়ার মুখোপাধ্যায় পরিবারের পুজোয় পাঁঠাবলির কাহিনি বেশ সুখশ্রাব্য