মেঘমুক্ত নীল আকাশে হাসছে কাঞ্চনজঙ্ঘা, উত্তরবঙ্গ ভ্রমণরত পর্যটকরা আনন্দে আত্মহারা

ভ্রমণঅনলাইন ডেস্ক: আকাশ মেঘমুক্ত, এক্কেবারে নীল। আর সেই আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘা যেন হাসছে। এবং সকাল থেকে সেই হাসি থাকল অনেক বেলা পর্যন্ত। কোভিডের আবহে বুধবার এই ছবি দেখে অত্যন্ত খুশি উত্তরবঙ্গ বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা। আর অনেক দিন পর এই ছবি দেখে খুশি স্থানীয় মানুষজনও।

উত্তরবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় ঘটেছে সপ্তাহখানেক আগেই। কিন্তু মেঘ কিছুতেই সরছিল না। এমনকি বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে দুর্গাপুজোর সময়ে সারা উত্তরবঙ্গ জুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হয়েছে। এত দিনে সেই মেঘ আর বৃষ্টির প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছে উত্তরবঙ্গ।

মঙ্গলবার সকালেও দেখা গিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা। কিন্তু সে দিন পর্যটকদের মন ভরেনি। কারণ সকালের দিকে দেখা দিয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সে মেঘের আড়ালে মুখ লুকিয়ে পড়ে। তবে বুধবার সকাল থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অন্য রূপ। এ দিন সূর্যোদয়ের সময়ে ঝকঝকে আকাশে কাঞ্চনজঙ্ঘায় দুর্দান্ত রঙবদলও দেখা গিয়েছে।

লোলেগাঁওয়ের কাছে কাফের থেকে এ দিন দুর্দান্ত সূর্যোদয় দেখেন মৌমিতা মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি উত্তরবঙ্গে আসছেন। তবে বুধবার ভোরে কাঞ্চনজঙ্ঘায় যে মায়াবী রঙবদলের খেলা প্রত্যক্ষ করলেন, তা খুব একটা দেখা যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্য দিকে দার্জিলিংয়ের কাছে লেপচাজগৎ থেকেও দুর্দান্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখেছেন চন্দননগরের বাসিন্দা অনির্বাণ নান। ডুয়ার্সের বেশ কিছু জায়গা থেকেও এ দিন দর্শন দিয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হলেও বেলা বারোটাতেও কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দুর্দান্ত ভাবে দেখা যাচ্ছে।

তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা দারুণ দর্শন দিলেও এখনও সে ভাবে ঠান্ডা পড়েনি পাহাড়ে। বুধবার দার্জিলিংয়ের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি। সমতলে তো শীতের লেশমাত্র নেই। শিলিগুড়ির পারদ রয়েছে কুড়ি ডিগ্রির ওপরেই। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাপমাত্রা কমবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাস।

কাঞ্চনজঙ্ঘার প্রথম ছবিটি তুলেছেন অনির্বাণ নান, লেপচাজগৎ থেকে।

ভ্রমণঅনলাইনে আরও পড়ুন

‘ওয়ার্ক ফ্রম মাউন্টেনস’, পর্যটনকে চাঙ্গা করতে উত্তরাখণ্ড পর্যটনের নতুন পরিকল্পনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *