দর্শন করুন শ্রীকৃষ্ণমন্দির: পশ্চিম ভারত

dwarakadheesh temple

ভ্রমণ অনলাইনডেস্ক: ভারতের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে আছে প্রচুর শ্রীকৃষ্ণ মন্দির। শুধু তীর্থস্থান বলেই নয়, নানা কারণে ওই সব মন্দিরের নানা গুরুত্ব রয়েছে। ওই সব মন্দিরের বেশ কয়েকটির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। বেশ কিছু মন্দির পর্যটকদের মুগ্ধ করে তাদের স্থাপত্যকলায়। মহাভারত আর পুরাণের নানা কাহিনি জড়িয়ে রয়েছে বেশ কিছু মন্দিরের সঙ্গে। এই অবশ্যদ্রষ্টব্য শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরগুলিকে পর্বে পর্বে পেশ করছে ভ্রমণ অনলাইন। প্রথম পর্বে ছিল উত্তর ভারত। এই পর্বে পশ্চিম ভারত।    

দ্বারকাধীশ মন্দির, দ্বারকা (গুজরাত)

idol of srikrishna of dwarakadheesh temple
দ্বারকাধীশ মন্দিরে শ্রীকৃষ্ণ। ছবি সৌজন্যে ব্লেসিংস অন দ্য নেট।

গুজরাতের দ্বারকা শহরে দ্বারকাধীশ মন্দির তথা রণছোড়জির মন্দির, স্টেশন থেকে দু’ কিমি গোমতী-তটে। গ্র্যানাইট ও বেলেপাথরে তৈরি রথের আকারের ৭২টা স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে এই সাততলা মন্দির ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় তীর্থস্থান। গর্ভমন্দির, বিমানমণ্ডপ ও নাট্যমণ্ডপ তিন ধাপে গড়ে উঠেছে। চুড়োয় স্বর্ণকলস। ১১ শতকের এই মন্দির। কষ্টিপাথরের সাড়ে তিন হাত উঁচু শ্রীকৃষ্ণ রুপোর সিংহাসনে উপবিষ্ট। মন্দিরস্রষ্টা রাজা জগৎ সিং রাঠোরের নামে এই মন্দিরকে জগৎ মন্দিরও বলা হয়।

দর্শনের সময়

সকাল সাড়ে ৬টা থেকে দুপুর ১টা ও বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা।

কী ভাবে যাবেন

অমদাবাদ শহর ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। অমদাবাদ থেকে দ্বারকা ৪৩৮ কিমি, ট্রেন, বাস আছে। গাড়ি ভাড়া করেও যাওয়া যায়। ট্রেনের বিশদ সময় জানার জন্য দেখে নিন https://erail.in

কোথায় থাকবেন

গুজরাত পর্যটনের তোরান ট্যুরিস্ট বাংলো (ফোন ০২৮৯২-২৩৪০১৩), অনলাইন বুকিং http://booking.gujarattourism.com/ । এ ছাড়া রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল, ধর্মশালা, অতিথি ভবন। নেটে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে। দ্বারকায় যাবতীয় হোটেলের সন্ধান পেতে দেখুন http://dwarkadishtemple.co.in/

আর কী দেখবেন

on the way to bet dwarak
বেট দ্বারকার পথে। ছবি সৌজন্যে দেশ গুজরাত।

গোমতী নদীতে ঘেরা দ্বীপে শ্রীকৃষ্ণ মন্দির; অদূরে গোমতীর সাগরসঙ্গম, ডাইনে সঙ্গমনারায়ণ মন্দির; কাছেই লাইটহাউস; লাইটহাউসের উত্তরে সানসেট পয়েন্ট; অপর পারে পঞ্চনদ তীর্থ; দ্বারকা শহরে ভদ্রকালী মন্দির, ৫১ পীঠের অন্যতম; সাগরবেলায় তারকেশ্বর; জগৎগুরু শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত সারদা মঠ; ওখার পথে ২ কিমি যেতে ১২ শতকের রুক্মিণী মন্দির।

ঘুরে আসুন বেট দ্বারকা। ৩২ কিমি দূরে ওখা। শহরে ঢোকার আগেই বেট দ্বারকার ফেরিঘাট। স্পিডবোট বা লঞ্চে চলুন বেট দ্বারকা। সারা দিন ঘুরে দেখে নিন এখানকার মন্দিররাজি।

ভালকা তীর্থ ও দেহোৎসর্গ, সোমনাথ (গুজরাত)

bhalka tirtha
ভালুকা তীর্থ।

সোমনাথ শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে এক কিমি দূরে ভালকা তীর্থ। কথিত আছে, এখানেই জঙ্গলে যখন গভীর ধ্যানে মগ্ন শ্রীকৃষ্ণ তখনই হরিণ ভেবে জরা ব্যাধ তাঁকে তিরবিদ্ধ করেন। শ্রীকৃষ্ণের মৃত্যুতে শেষ হয় দ্বাপর যুগ, শুরু হয় কলি যুগের। এখানকার শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে রয়েছে বংশীবাদনরত শ্রীকৃষ্ণের ত্রিভঙ্গ মূর্তি। রয়েছে ব্যাধের মূর্তিও। কাছেই দেহোৎসর্গ – হিরণ্য, কপিলা এবং সরস্বতীর সঙ্গম। এখানেই শ্রীকৃষ্ণ তাঁর নশ্বর দেহ ছেড়ে তাঁর স্বর্গীয় আবাসে চলে যান।

দর্শনের সময়

সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা

কী ভাবে যাবেন

অমদাবাদ শহর ভারতের প্রায় সব জায়গার সঙ্গে ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। অমদাবাদ থেকে সোমনাথ এক্সপ্রেসে ভেরাবল আসুন, ৪৩১ কিমি। রাত ১০টায় ছেড়ে সকাল ৬.২০-তে পৌঁছে যায়। ভেরাবল স্টেশন থেকে সোমনাথ, ৮ কিমি। বাস, অটো, গাড়ি পাবেন। ট্রেনের বিশদ সময় জানার জন্য দেখে নিন https://erail.in

কোথায় থাকবেন

sagar darshan atithi gruha
সাগর দর্শন অতিথিগৃহ।

সোমনাথে থাকার সব চেয়ে ভালো ব্যবস্থা শ্রীসোমনাথ ট্রাস্টের অতিথিশালা – লীলাবতী অতিথিভবন, মহেশ্বরী অতিথিভবন ও সাগরদর্শন গেস্ট হাউস। অনলাইন বুকিং https://booking.somnath.org/GuestHouse/ । এ ছাড়া রয়েছে অনেক বেসরকারি হোটেল, নেটে সার্চ করলেই পাওয়া যাবে।

আর কী দেখবেন

সৈকতশহর সোমনাথের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দ্রষ্টব্য সোমনাথ মন্দির, দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের অন্যতম, বিদেশীদের আক্রমণে বার বার ধ্বংস হয়েছে এই মন্দির, বর্তমান মন্দিরটির উদ্বোধন হয় ১৯৫১-য়; মন্দিরে সন্ধ্যায় লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো; কাছেই ১৭৮৩-তে রানি অহল্যাবাঈয়ের গড়া মন্দিরের স্মারক রূপে নতুন করে দ্বিতল মন্দির হয়েছে, নাম পুরাতন মন্দির; হিরণ্য, কপিলা এবং সরস্বতীর সঙ্গম প্রভাসতীর্থ;  প্রভাস পাটন মিউজিয়াম; ১২ শতকের পার্বতী মন্দির; চন্দ্রপ্রভ জৈন মন্দির; ১ কিমি শহরমুখী যেতে দ্বিতীয় গেটে অতীতের সূর্যমন্দির আজ মসজিদে রূপান্তরিত; পরশুরামের তপোভূমি; সোলাঙ্কি কালের সূর্যমন্দির; দেহোৎসর্গে গীতা মন্দির, কাছেই লক্ষ্মী-নারায়ণ মন্দির, বলরাম মন্দির, নাগস্থান, বল্লভাচার্য তথা মহাপ্রভুজির বৈঠক ইত্যাদি।

শ্রীরণছোড়জি মহারাজ মন্দির, ডাকোর (গুজরাত)

ranchodji temple, dakor
রণছোড়জি মন্দির।

প্রশস্ত অঙ্গনের মাঝে ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে তৈরি কারুকার্যশোভিত মন্দিরে দেবতা শ্রীকৃষ্ণ – এখানে রণছোড়জি নামে খ্যাত। কথিত আছে, ভক্ত বদানোর সঙ্গে দেবতা আসেন দ্বারকা থেকে ডাকোরে। আরেকটি কাহিনি অনুসারে, ডাকোরবাসীরা দ্বারকা থেকে চুরি করে আনেন রণছোড়জিকে। স্বর্ণসিংহাসনে শঙ্খ-চক্র-গদা-পদ্ম দণ্ডায়মান কষ্টিপাথরের বিগ্রহ।

দর্শনের সময়

সকাল ৬.৪৫ থেকে সাড়ে ৮টা, ৯টা থেকে সাড়ে ১০টা, সাড়ে ১১টা থেকে ১২টা, বিকেল ৪.১০ থেকে ৪.৫৫, ৫,২৫ থেকে ৬টা এবং সন্ধে ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা।

কী ভাবে যাবেন

ডাকোরের সব চেয়ে কাছের স্টেশন আনন্দ, দূরত্ব ২৭ কিমি। ভারতের প্রায় সব বড়ো জায়গার সঙ্গে আনন্দ রেলপথে যুক্ত। আনন্দ থেকে ট্রেনে, বাসে বা গাড়িতে আসা যায় ডাকোর। আনন্দ-গোধরা রেলপথে ডাকোর স্টেশন। বিমানে অমদাবাদ এসে সেখান থেকে বাসে বা গাড়িতে ডাকোর আসা যায়, দূরত্ব ৮৫ কিমি। নাদিয়াদ থেকে ডাকোর ৪১ কিমি, বডোদরা (বরোদা) থেকে ডাকোর ৬২ কিমি। নাদিয়াদ ও বডোদরা দু’টি জায়গাই রেলপথে ভারতের প্রায় সব বড়ো জায়গার সঙ্গে যুক্ত। এখান থেকে বাস বা গাড়িতে আসা যায় ডাকোর। ট্রেনের বিশদ সময় জানার জন্য দেখে নিন https://erail.in

কোথায় থাকবেন

ডাকোরে থাকার জন্য প্রচুর ধর্মশালা, অতিথিভবন আছে। অনলাইন বুকিং https://yatradham.org/ । তবে অমদাবাদ বা বডোদরায় থেকে ঘুরে নেওয়া যায় ডাকোর। অমদাবাদে থাকার জন্য গুজরাত পর্যটনের তোরান গান্ধী আশ্রম। অনলাইন বুকিং https://www.gujarattourism.com । তা ছাড়া অমদাবাদ ও বডোদরায় রয়েছ প্রচুর বেসরকারি হোটেল, সন্ধান পাবেন বেসরকারি হোটেলের ওয়েবসাইটগুলি থেকে।

আর কী দেখবেন

ডাকোরে রণছোড়জি মহারাজ মন্দির ছাড়াও দেখুন কুলেশ্বরী মাতা মন্দির, গোমতী তলাও, শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দির, গলতেশ্বর মহাদেব মন্দির (ডাকোরের কাছে সর্নাল গ্রামে)। ২৭ কিমি দূরে আনন্দের প্রসিদ্ধি ভারত-বিখ্যাত দুগ্ধ প্রকল্প আমূলের জন্য। নাদিয়াদে দেখে নিতে পারেন শ্রী সন্ত্রাম মন্দির।

শ্রীনাথজি মন্দির, নাথদ্বার (রাজস্থান)

shrinathji mandir
শ্রীনাথজি মন্দির।

ভারতের দ্বিতীয় সম্পদশালী মন্দির নাথদ্বার। সুন্দর ছবিতে অলংকৃত মন্দিরে কষ্টিপাথরের শ্রীনাথজি অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণ। কথিত আছে, আওরঙ্গজেবের রোষানল থেকে বাঁচাতে মথুরা থেকে মেবারে সরিয়ে আনা হচ্ছিল দেববিগ্রহ। চলার পথে শিহরে রথের চাকা বসে যেতে দৈবজ্ঞরা বিধান দিলেন এখানেই অধিষ্ঠিত হতে চান দেবতা। ১৬৬৯-এ দেবতার প্রতিষ্ঠা। তবে বিগ্রহটি ১২ শতকের তেলুগু ব্রাহ্মণ শ্রীবল্লভাচার্যের প্রতিষ্ঠিত।

দর্শনের সময়

সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৬টা, সাড়ে ৭টা থেকে ৮টা, সাড়ে ৯টা থেকে ৯.৪৫, সাড়ে ১১টা থেকে ১২.০৫, বিকেল ৩.৪৫ থেকে ৪টে, ৪.৪৫ থেকে ৫টা এবং সাড়ে ৮টা থেকে ৯.১৫। 

কী ভাবে যাবেন

উদয়পুর থেকে ৪৭ কিমি দূরে নাথদ্বার। ভারতের বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে রেল ও বিমানপথে যুক্ত উদয়পুর। ভারতের যে কোনো জায়গা থেকে দিল্লি এসে সেখান থেকে উদয়পুর আসা বেশি সুবিধাজনক। দিল্লি থেকে দুটি দৈনিক ট্রেন আছে। এ ছাড়াও সাপ্তাহিক, ত্রিসাপ্তাহিক ট্রেন আছে। ট্রেনের বিশদ সময় জানার জন্য দেখে নিন https://erail.inউদয়পুর থেকে বাসে বা গাড়ি ভাড়া করে চলে আসুন নাথদ্বার।

কোথায় থাকবেন

নাথদ্বারে থাকার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু কটেজ ও ধর্মশালা আছে। অনলাইন বুকিং https://www.nathdwaratemple.org । বেশ কিছু বেসরকারি হোটেল আছে, নেট সার্চ করলে যার সন্ধান পেয়ে যাবেন।

তবে নাথদ্বারে না থেকে উদয়পুরে থেকে উদয়পুর ভ্রমণের সঙ্গে নাথদ্বার জুড়ে নেওয়া ভালো। উদয়পুরে থাকার জন্য রয়েছে রাজস্থান পর্যটনের হোটেল কাজরী ও হোটেল আনন্দভবন। অনলাইন বুকিং http://rtdc.tourism.rajasthan.gov.in । এ ছাড়াও উদয়পুর শহরে বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে নানা মানের হোটেল আছে, নেট সার্চ করলে যার সন্ধান পেয়ে যাবেন।

আর কী দেখবেন

lake pichola
পিছোলা লেক।

উদয়পুর ভ্রমণের সঙ্গে নাথদ্বার জুড়ে নেওয়া ভালো। উদয়পুরে দেখবেন পিছোলা লেকের পুব পাড়ে সিটি প্যালেস, পিছোলা লেক, ক্রিস্টাল গ্যালারি, ভিনটেজ কার প্রদর্শনী, জগদীশ মন্দির, পিছোলা লেকে জগনিবাস প্রাসাদ, জগমন্দির, সজ্জননিবাস বাগ তথা গুলাব বাগ, পিছোলা লেকের উত্তরে ফতেহ সাগর, ফতেহ সাগরের তীরে সঞ্জয় পার্ক ও আরাবল্লী ভাটিকা, নেহরু পার্ক, মোতি মাগরি পাহাড়ে প্রতাপ স্মারক, ফতেহ সাগরের পুবে বাঁধের নীচে সহেলিয়োঁ কি বাড়ি, শহর থেকে ৫ কিমি পশ্চিমে সজ্জনগড় তথা মনসুন প্যালেস, শহর থেকে ৬ কিমি উত্তর-পশ্চিমে শিল্পীগ্রাম, ৩ কিমি পুবে শিশোদিয়া রাজাদের অতীত রাজধানী পাহাড়ে ঘেরা ‘আহার’ ইত্যাদি।

এ ছাড়াও উদয়পুর থেকে ২২ কিমি উত্তর-পুবে তথা নাথদ্বার থেকে ২৫ কিমি দূরে একলিঙ্গজির মন্দির, উত্তর-পুবে আরও ২ কিমি যেতে মেবারের অতীত রাজধানী নাগদা; নাথদ্বার থেকে ১৬ কিমি পশ্চিমে আর উদয়পুর থেকে ৪০ কিমি দূরে রাণা প্রতাপ ও চেতকের স্মৃতিবিজড়িত হলদিঘাটি; নাথদ্বার থেকে ১৭ কিমি উত্তর-পুবে বাগিচা, ছত্তিশ আর শ্রীকৃষ্ণমন্দির নিয়ে কাঁকরোলি, কাছেই রাজসমন্দ লেক।        

গোবিন্দদেবজি মন্দির, জয়পুর (রাজস্থান)

shri govinddevji
শ্রীগোবিন্দদেবজি।

জয়পুর সিটি প্যালেসে বাদলমহল ও চন্দ্রমহলের মাঝে, চন্দ্রমহলের উত্তরে অবস্থিত এই গোবিন্দদেবজি মন্দির। কারুকার্যমণ্ডিত, সোনায় অলংকৃত সিলিংয়ের মন্দির অপূর্ব শ্রীমণ্ডিত কষ্টিপাথরের দণ্ডায়মান বিগ্রহ। কথিত আছে, জয়পুরের মহারাজ দ্বিতীয় সোয়াই জয় সিংহকে স্বপ্নে দেখা দেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের ধ্বংসলীলার হাত থেকে রাজ্য বাঁচাতে তাঁর প্রাসাদে গোবিন্দদেবজিকে এনে প্রতিষ্ঠা করার কথা বলেন। মহারাজ ১৮ শতকের একেবারে প্রথম ভাগে বৃন্দাবন থেকে গোবিন্দদেবজিকে এনে এখানে প্রতিষ্ঠা করেন।    

দর্শনের সময়

ভোর ৪.৪৫ থেকে ৫.১৫, সকাল ৭.৪৫ থেকে ৯টা, সাড়ে ৯টা থেকে ১০.১৫, ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা, বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা, সাড়ে ৬টা থেকে ৭.৪৫ ও রাত ৮.৪৫ থেকে ৯.১৫।

কী ভাবে যাবেন

ভারতের প্রায় সব শহরের সঙ্গে জয়পুর ট্রেন ও বিমানপথে যুক্ত। ট্রেনের বিশদ সময় জানার জন্য দেখে নিন https://erail.in । জয়পুরে যেখানেই থাকুন, অটো বা গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারেন গোবিন্দদেবজি মন্দিরে।   

কোথায় থাকবেন

জয়পুরে থাকার জন্য রয়েছে রাজস্থান পর্যটনের হোটেল গঙ্গৌর, হোটেল জয়পুর, হোটেল খাসা খোটি, হোটেল স্বাগতম এবং হোটেল তীজ। অনলাইন বুকিং http://rtdc.tourism.rajasthan.gov.in । এ ছাড়াও জয়পুর শহরে বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে নানা মানের হোটেল আছে, নেট সার্চ করলে যার সন্ধান পেয়ে যাবেন।

আর কী দেখবেন

amer fort
অম্বর দুর্গ। ছবি সৌজন্যে সোয়ান ট্যুরস।

জয়পুরে দেখে নিন সিটি প্যালেস, যন্তরমন্তর, হাওয়ামহল, অ্যালবার্ট হল, জাদুঘর, চিড়িয়াখানা, মোতিডুংরি পাহাড় ঢালে বিড়লা মন্দির, মানসাগর সরোবরে জলমহল, জলমহলের বিপরীতে পথ উঠেছে জয়গড়ের, নাহারগড়, শিশোদিয়া রানি কি বাগ, জয়পুরের বাঙালি স্থপতি বিদ্যাধর ভট্টাচার্যের স্মারক বিদ্যাধরজি কি বাগ ইত্যাদি; শহরের ১০ কিমি দক্ষিণ-পুবে গলতা ও পাহাড়শিরে সূর্য মন্দির, জয়পুর-আগরা সড়কে বালাজি; শহর থেকে ১১ কিমি উত্তর-পুবে পাহাড়শিরে অম্বর প্রাসাদ বা দুর্গ, প্রাসাদ চত্বরেই বাংলার দেবী যশোরেশ্বরী মায়ের মন্দির, অম্বরের পথেই গৈতর বা মহারাজদের সমাধিভূমি; শহর থেকে ১৬ কিমি দক্ষিণ-পশ্চিমে সঙ্গানের (১৫০০ খ্রিস্টাব্দের জৈন মন্দির ও প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ); শহর থেকে ২৮ কিমি দূরে রামগড় লেক ইত্যাদি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *